ল্যাংটন রুসেরে। জ়িম্বাবোয়ের এই আম্পায়ারের ভুলেই কি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠা হল না বাংলাদেশের? শাকিব আল হাসানকে ভুল আউট দিয়ে তিনিই কি বিশ্বকাপ-স্বপ্ন শেষ করে দিলেন? প্রশ্নটা উঠছেই। বিশেষত কিছু দিন আগে এই রুসেরের একটি সিদ্ধান্ত অস্ট্রেলিয়া বনাম আফগানিস্তান ম্যাচের ফলাফল বদলে দিতে পারত।
ডিআরএসে স্পষ্ট দেখা যায়, বল আগে ব্যাটে লেগেছে। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ার বলে দেন, ব্যাটের সঙ্গে বলের কোনও যোগাযোগ হয়নি। স্নিকোমিটারে যা ধরা পড়েছে সেটি ব্যাটের মাটিতে লাগার শব্দ। বল সরাসরি শাকিবের পায়ে লেগেছে। তিনি আউটের সিদ্ধান্ত নেন। শাকিব বিশ্বাসই করতে পারছিলেন। প্রথমে অবাক হয়ে যান। তার পরে মাঠে থাকা দুই আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন।
পাঁচ বলের ওভারের ম্যাচটিও ছিল গুরুত্বপূর্ণ। সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া মাত্র চার রানে জেতে। ওই একটা বল ম্যাচের ফলাফল বদলে দিতে পারত। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের চতুর্থ ওভারে এই ঘটনা ঘটে। তখন ব্যাট করছিলেন মিচেল মার্শ এবং ডেভিড ওয়ার্নার। দু’জনেই প্রথম দু’টি বলে একটি করে সিঙ্গলস নেন। এর পর ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে বাউন্ডারি মারেন মার্শ। পরের বলে তিন রান নেন তিনি। পঞ্চম বলে কোনও রান নেননি। এর পরেই আম্পায়ার ওভার ডেকে দেন।
প্রায় তিন বছর আগে ভারতের একটি ম্যাচেও বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটার হেনরি নিকোলস ব্যাট করছিলেন। মহম্মদ শামির বল নিকোলসের থাই প্যাডে লেগে গালিতে যায়। ফিল্ডার তালুবন্দি করেন। কিছু ভারতীয় ক্রিকেটারের আবেদনে সাড়া দিয়ে আঙুল তুলে দেন রুসেরে। নিকোলস অবশ্য আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে বল তাঁর ব্যাটে বা গ্লাভসে লাগেনি। ডিআরএসে সিদ্ধান্ত বদলে যায়। রবিবার তো নিজেই ডিআএরএসে সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে গোলমাল করলেন রুসেরে।
আন্তর্জাতিক আম্পায়ারিংয়ে ২০১৫ সালে অভিষেক হয় রুসেরের। ভারত এবং জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে তিনি আম্পায়ার ছিলেন। এখনও পর্যন্ত ৩টি টেস্ট, ২২টি এক দিনের ম্যাচ এবং ৪১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তিনি। কিন্তু একের পর এক ভুল ইতিমধ্যেই তাঁকে বিতর্কে ভরিয়ে দিয়েছে। তাঁর নাম সার্চ করালেই একাধিক ভুলের উদাহরণ দেওয়া খবর প্রকাশ্যে আসছে। এখন দেখার, ভবিষ্যতে আর কোনও বড় প্রতিযোগিতায় তিনি আম্পায়ারিংয়ের সুযোগ পান কিনা।